বেদানা বা ডালিমের ১০টি উপকারিতা

আমাদের মধ্যে অনেকে আছি যারা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা নেই। তাই আজকে বেদনা বা ডালিমের ১০টি উপকারিতা এবং ডালিম খাওয়ার অপকারিতা এছাড়াও ডালিম নিয়ে যাবতীয় তথ্য এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা জানতে পারবো বেদেনা বা ডালিমের ১০টি উপকারিতা, খালি পেটে ডালিম খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, ডালিমের পাতার রসের উপকারিতা, ডালিম খাওয়ার অপকারিতা এবং  ডালিম গাছ কত দিনে ফল দেয়? এ সকল কিছু জানতে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

বেদানা বা ডালিমের ১০টি উপকারিতা

ছোট বড় সবারই পছন্দের ফল ডালিম বা বেদেনা। ডালিমে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা অনেক রোগের ঔষধ। ডালিমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিজেন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এটি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।তাহলে আসুন জেনে নেই বেদানা বা ডালিমের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে।
  1. ডালিম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা ডালিম খেতে পারেন।
  2. হার্টের সংযোগস্থলের ব্যথা কম করে। প্রতিদিন ডালিম খেলে দেহের কোলেস্টলের ঝুঁকি কমায় ফলে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
  3. ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।তাই আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে করতে প্রতিনিয়ত ডালিম খেতে পারে।
  4. আপনার যদি রক্তের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি ডালিম খেতে পারেন।কারণ ডালিম হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। ফলে রক্তের নানা সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  1. ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে  প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডালিম অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে।
  2. ডালিম ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে ডালিম।
  3. ডায়রিয়া হলে ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে খাওয়ালে অনেকটা উপকারিতা পাবেন।
  4. স্টকের সম্ভাবনা কমাতে ডালিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  5. আপনার যদি বুকে ব্যথা থাকে থাকে তাহলে আপনি ডালিম খেতে পারেন। কারণ বুকের ব্যথা দূর করতে ডালিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  6. কাশি এবং কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করতে ডালিম সাহায্য করে থাকে।
এগুলোই হলো বেদানা বা ডালিমের ১০টি উপকারিতা। তাই আপনারা বুঝতে পারছেন ডালিম আমাদের কত উপকারে আসতে পারে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন একটি করে ডালিম খাওয়া। তাহলে আমরা অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারব। এবং আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারবো।

খালি পেটে ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

এই আর্টিকেলটিতে আমরা জানবো সকালে খালি পেটে ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।ডালিমের দানায় দানায় রয়েছে ম্যাজিক। পুষ্টিকুণে ভরপুর ডালিমের প্রত্যেকটি দানা। গবেষণায় বলা হয়েছে অ্যান্টিঅক্সিজেনের ভান্ডার এই ডালিেমর এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও কে রয়েছে।

এর পাশাপাশি রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার, ও প্রোটিন অ্যাক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ডালিম ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণেও অনেক সহায়তা করে। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত ডালিম ক্যান্সারের কোষগুলো বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। আনার বা ডালিম এমন একটি মহা ঔষধি যা বহু রোগের চিকিৎসা করে। পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ার কারণে এই আনার সারা বিশ্বেই অনেক পরিচিত।

এর মধ্যে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, নিউসিন,জিংক এবং ভিটামিন সি রয়েছে।এর প্রত্যেকটা অংশ শরীরের জন্য বেশ কার্যকর। আনার গাছের মূল, পাতা, বিচি ইত্যাদি সবকিছুই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহার হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডালিম আশীর্বাদস্বরূপ। অনেকে এটিকে ইনসোরিনের বিকল্প  হিসাবে মনে করেন।

মিষ্টি হলেও এটি সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কোন সমস্যা হয় না। এটি পাচন শক্তিকে মজবুত করে দেয়,রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখে। এটা ত্বকে মধ্যে  চকচকে ভাত নিয়ে আসে এর মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ আপনাকে সুন্দর চকচকে এবং দীপ্তিময় চেহারা পেতে সাহায্য করে।

এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিজেন ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করে এবং সুন্দর করে তোলে। এছাড়াও এর মধ্যে এমন পুস্টিগুণ রয়েছে যা বয়স বাড়ার গতিকে কামাতে সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় একটি আনার যুক্ত করা উচিত। দাঁতের জন্য আনার অনেক ভালো কাজ করে।

এটি দাঁতের প্লাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও মারি ব্যথা সহ দাঁতের নানা সমস্যার সমাধান করে দেয় ডালিম।ডালিম খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা কমে যায় এতে করে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে। এটা স্মৃতিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। ডালিম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

আপনি যদি উচ্চরক্ত চাপে ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত ডালিম খেলে দুই সপ্তাহে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।এটা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এতে করে রক্তের নানা সমস্যা দূর হয়ে যায়। এই ডালিম হাড়ের ব্যথা দূর করার পাশাপাশি বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। দেহের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে এই ডালিম।

এছাড়াও একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে দেয়। এটা শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। অনেকেই ভাবেন ডায়রিয়া হলে ডালিম খাওয়া ঠিক নয় কিন্তু ডায়রিয়া থেকে বাঁচার জন্য ডালিমের রস খুবই উপকারী। তাই ডায়রিয়া সকাল বিকাল ডালিমের রস খেলে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

সর্দি, কাশি থেকে বাঁচার জন্য ডালিমকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে তাহলে আপনি যদি ডালিমের রস খান তাহলে আপনার ঠান্ডা ঠিক হয়ে যাবে। এর মধ্যে পটাশিয়াম ও ফাইবার রয়েছে যা ইমিউনিটি সিস্টেমকে মজবুত করে দেয়। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক বাড়িয়ে দেয়।

ছাড়াও এই ডালিমের পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত একটি করে ডালিম খেলে আপনি হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা থেকেও বাঁচতে পারবেন। ডালিমের রসের সাথে তেল মিশিয়ে শরীরে মালিশ করলে শরীরের যেকোনো ব্যথায় দূর হয়ে যাবে। প্রতিদিন আনার খেলে স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি একেবারেই কমে যাবে। নিয়মিত আনার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে এই ডালিম।যেসব মহিলারা প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তারা প্রতিদিন ডালিম খেতে পারেন। এর মধ্যে ভিটামিন সি ও কে এর পাশাপাশি ফলিক এসিড রয়েছে যা মায়ের গর্ভে থাকা বাচ্চার বিকাশে সহায়তা করে। এটা মানসিক চিন্তা দূর করে এবং মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইলে আনারস ছাল এবং বিচিকে পাউডার করেন। তারপর দুটি পাউডারকে সমপরিমাণে একত্রে মিশিয়ে নিন।তারপর কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত দিনে দুইবার হাফ চামচ করে কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করে নিন।তাছাড়াও প্রতিদিন এক গ্লাস আনারের জুস ও পান করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আনার বা ডালিম খুবই সুস্বাদ ও আয়রন সমৃদ্ধ একটি ফল। গর্ভাবস্থায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। অনেক নারী গর্ভঅবস্থায় আনার খান আবার অনেকে আনার খেতে ভয় করেন। যার কারণ হচ্ছে আনারের কিছু উপকারি দিক থাকলেও কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আনার খাওয়া নিষেধ। 

আজকে আপনাদের জানাবো আনার বা ডালিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা। গর্ভবতী নারীরা আনার খেতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেবো এই আর্টিকেলটিতে। পাশাপাশি জানাবো কোন গর্ভবতী নারীরা আনার বা ডালিম সেবন করবেন না। ডালিম খাওয়া বা ডালিমের রস পান করা গর্ভাবস্থায় খুব উপকারী।
কারণ শরীরকে সুস্থ রাখে এমন সব উপাদান ডালিমে পাওয়া যায়। যদি আপনার শরীরের রক্তের ঘাটতি থাকে তাহলে এটি আপনার শিশুর বিকাশ কেউ প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে নিয়মিত ডালিম খাওয়া খুব উপকারী। কারণ ডালিমের মধ্যে ফ্লোয়েট,আয়রন ও ফলিক এসিড থাকে যার কারণে শরীরের রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।

সাধারণত গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় সবসময় শারীরিক দুর্বলতা ও অবসন্নতায় ভোগে থাকেন। তাই যারা প্রতিদিন ডালিম খান তাদের শারীরিক দুর্বলতা এবং অবসন্নতা দূর হয়ে যায়। গর্ব অবস্থায় ডালিম খেলে অনাগত শিশুর স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। যার কারণে তিনি মানসিক অসুস্থতা থেকে রক্ষা পান।

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় যার কারণে আমরা প্রায়ই লৌহ বা আয়রনের ঔষধ সেবন করে থাকি। এক্ষেত্রে আপনি যদি প্রতিদিন দুটি মাঝারি সাইজের ডালিম খেতে পারেন। তাহলে সহজেই আপনার আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।

দেহে অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক থাকে। এটি প্রসবের সময় শিশুর মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতিকে হ্রাস করে থাকে। ডালিম প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত একটি ফল। প্রতিদিন ডালিম খেলে পেট জাতিয় সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অর্থাৎ গর্ভঅবস্থায় নারীদের চেয়ে কষ্টকাষ্ঠিনের অবস্থায় ভুগতে হয় তা দূর হয়ে যায়।

ডালিমে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিজেন উপাদানগুলি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসরণে সহায়ক। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ডালিম খাওয়া উপকারী। যদি আপনি গর্ভাবস্থায় বারবার ব্যথায় ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত ডালিম খাবেন।কারণ ডালিম এর মধ্যে উপস্থিত পটাশিয়াম পেট ব্যাথা কমাতে সহায়তা করে থাকে।

ডালিম সেবনে মায়ের সাথে শিশুটির স্নায়ুতন্ত্র বিকশিত হয় এবং মসৃণ ভাবে শিশুটি বেড়ে ওঠে। যার ফলে তার মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি কমে যায়। তবে গর্ব অবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও কিছু অপকারিতা রয়েছে। কিছু কিছু নারীদের ক্ষেত্রে গর্ব অবস্থায় ডালিম খাওয়া উচিত নয়। স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সুস্থ গর্ভবতী নারী দৈনিক দুটি মাঝারি সাইজের ডালিম খেতে পারেন।

অথবা একটি বড় সাইজের ডালিম খেতে পারেন। ডালিম খেলে এর দানা সহ চিবিয়ে খাওয়ায় উত্তম। তবে যারা দানা হজম করতে পারেন না তারা এটিকে রস করে খেতে পারেন। যে সকল মহিলাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। তাদের ডালিম খাওয়া উচিত। কারণ ডালিম এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা উচ্চরক্তচাপের  সমস্যাকে দূর করতে পারে।

তাই আপনার ব্লাড প্রেসার যদি অনেক কম থাকে সে ক্ষেত্রে ডালিম খাওয়ার পূর্বে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় ডালিম খেলে অনেক নারীরই এলার্জি অথবা চুলকানি মত সমস্যা দেখা দেয়। যদি আপনার ত্বকে কোন এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে।

তাহলে আপনি ডালিম খেয়ে দেখুন যদি আপনার কোন সমস্যা না হয় তাহলে আপনি ডালিম খেতে পারেন। খাবার ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণের খাবেন পরীক্ষা করার জন্য যে আপনার শরীর এলার্জি আছে কিনা। যেকোনো ভিটামিন সি জাতীয় ফল যদি আপনি বিকেলবেলা বা সন্ধ্যার পর অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করেন।

তাহলে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজনের মধ্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ফল সব সময় খেতে হবে সকাল দশটার পরে অর্থাৎ সকালের নাস্তা খাওয়ার একঘন্টা পর খেতে পারেন।এবং আপনার ফলের খাদ্য তালিকা বিকেলের মধ্যে খেয়ে শেষ করে  দিন।তাহলে আর ফল খেয়ে গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের মতো সমস্যা ভুগতে হবে না।

ডালিম পাতার রসের উপকারিতা

আমরা অনেকেই ডালিমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এর কথা জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ডালিম এর পাশাপাশি ডালিমের পাতাও উপকারী এবং পুষ্টিগুণ সম্পুন্ন। ডালিম যেমন আমাদের পুষ্টির চাহিদা মেটায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তেমনি ডালিমের পাতা ও পুষ্টির চাহিদা মেটায় এবং রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ডালিম যেমন আমাদের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে থাকে।ঠিক তেমনি ডালিমের পাতা ও আমাদের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।এই আর্টিকেলটিতে কয়েকটি রোগের কথা বলব যেসব রোগে ডালিমের পাতার রস আমাদের উপকারে আসে।
  • যদি শরীরে ঘা বা চুলকানি হয়। তাহলে ডালিমের পাতা রস করে খেলে ঘা বা চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
  • যাদের পাইলস আছে তারা যদি ডালিম পাতার রস খায়। তাহলে তাদের পাইলসের সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে। তবে পাইলস একটি চিরোরোগ এটা সহজে শরীর থেকে যেতে চায় না। দীর্ঘদিন সময় লাগে শরীর থেকে যেতে। তাই অনেক দিন সময় লাগবে এই রোগটি ঠিক হতে।
  • যাদের শরীরে বিভিন্ন বিষাক্ত পোকার কামড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে বা ঘা হয়ে গেছে। তারা যদি এই ডালিম পাতার রস থেতলিয়ে সেই ঘা বা আক্রান্ত অবস্থায় লাগায়। তাহলে আক্রান্ত জায়গা বিষ দূর হয়ে যাবে।
  • চুল পড়া বন্ধতে এই ডালিম পাতা থেতলিয়ে  চুলের গোড়ায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
  • শরীরে কোন জায়গা থেকে যদি রক্তক্ষরণ হয়। অর্থাৎ কোন জায়গায় কেটে গেলে যদি রক্তক্ষরণ হয়। তাহলে তৎক্ষণা সেই জায়গায় ডালিমের পাতা থেতলিয়ে দিলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়।
  • যাদের বরুণ বা কালো দাগ রয়েছে তাদের মুখে যদি এই ডালিম পাতা পেস্ট বানিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়।তাহলে তাদের সেই কালো দাগ বা বরুন দূর হয়ে যাবে। তবে মেহেদির পাতা এর থেকে ভালো কার্যকরী।
  • চেহারা থেকে বয়সে ছাপ দূর করতে এই ডালিমের পাতা খুবই উপকারি। ডালিমের পাতা পেস্ট করে চেহারায়  লাগালে বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে।

ডালিম খাওয়ার অপকারিতা

আজকের আর্টিকেলটিতে জানতে পারবেন কাদের ডালিম খাওয়া একেবারে উচিত নয়। ফল নানা রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে শুধু তাই নয় দেহের শক্তি সরবরাহে ফল অত্যন্ত উপকারী। সম্ভবত এ কারণে ডাক্তাররা রগিকে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। আপনি যদি ডালিম বা বেদেনা সম্পর্কে কথা বলেন তাহলে ডালিম দেখতে যেমন লাল হয় তেমনি এটি খেতে অনেক সুস্বাদ।

দৈনন্দিন জীবনে অনেকে ডালিম বা ডালিমের রস খাবার তালিকায় যুক্ত করে থাকেন। কিন্তু ডালিমের এত গুন থাকা সত্ত্বেও কিছু ক্ষেত্রে ডালিম মারাত্মক হতে পারে। যদি এই চারজন ব্যক্তি ডালিম খান তাহলে সেটি বিষ পানের সমতুলাহ হাবে।শুধু তাই নয় ডালিম নিয়মিত খেলে এসব মানুষের জীবনের ঝুঁকি দ্বিগুণ পাড়িয়ে তোলে।
তাই কোন চারজনের ডালিম খাওয়া একেবারে উচিত নয় তা জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
  • যারা উচ্চরক্তচাপ সম্পন্ন রোগ তারা নিয়মিত ডালিম সেবন করলে তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে । কিন্তু আপনি যদি কম রক্তচাপ জনিত রোগে আক্রান্ত থাকেন।অর্থাৎ আপনার ব্লাড প্রেসার কম হলে ডালিম খাওয়া আপনার জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
  • এক গবেষণা অনুযায়ী যে সমস্ত ব্যক্তিরা মানসিক রোগে আক্রান্ত এবং নিয়মিত ওষুধের সেবন করে থাকেন। সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ডালিমের ব্যবহার অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
  • যে সমস্ত লোকেদের সর্দি, কাশি, জ্বর অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে। সে সমস্ত ব্যক্তিদের ডালিমের সেবন ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে।
  • যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের ডালিম খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ ডালিমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের রক্তে এলার্জিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
তাই আপনারা যদি সব সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাহলে আজকের থেকেই ডালিম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।

ডালিম গাছ কত দিনে ফল দেয়?

আমরা অনেকে আছি যারা ডালিমের উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে জানি। কিন্তু আমরা অনেকে আছি যারা জানিনা এই এত গুন সম্পন্ন একটি ফল তৈরি হতে কত দিন সময় লাগে। একটি ডালিম গাছের ফল আসতে তিন বছর সময় লাগে। কিন্তু এই ডালিম গাছে একবার ফল আসা শুরু করলে ৩০ বছর পর্যন্ত ফল দিতে পারে।

আমরা অনেকেই এসব বিষয় সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু আমাদের এটা জেনে রাখা উচিত যে এত গুণসম্পূর্ণ একটি ফল তৈরি হতে কতদিন সময় লাগে।

আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটিতে বেদানা বা ডালিমের ১০টি উপকারিতা এবং ডালিম খাওয়ার অপকারিতা এছাড়াও ডালিম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনিও যদি ডালিম পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই এসব বিষয় জেনে রাখা উচিত। আর এতক্ষণ ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফরমেন্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url