পার্সিয়ান বিড়াল চেনার উপায় কি

আমরা অনেকে আছি যারা পার্সিয়ান বিড়াল চিনি না। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে পার্সিয়ান বিড়াল চেনার উপায় আর বিড়াল কামড় দিলে করনীয় এবং বিড়াল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আর্টিকেলটিতে লেখা হয়েছে। আপনি যদি এ বিষয়গুলো না জেনে থাকেন তাহলে এই বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা জানবো পার্সিয়ান বিড়াল চেনার উপায়,বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ, বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার, বিড়াল কামড় দিলে করনীয়,পার্সিয়ান বিড়ালের খাবার,আর বিড়াল কত বছর বাঁচে এবং বিড়াল নিয়ে হাদিস। এই সবকিছু জানতে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

পার্সিয়ান বিড়াল চেনার উপায়

পার্সিয়ান বিড়াল পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বিড়ালের মধ্যে একটি এর উৎপত্তি ইরানে মনে করা হয়। বিড়ালের মধ্যে পার্সিয়ান বিড়ালের জনপ্রিয়তা অনেক। এই বিড়ালটি তার ঘনলোম, বৃত্তাকার মাথা, আর ছোট নোকের জন্য পরিচিত।

মাথা:পার্সিয়ান বিড়ালের মাথা গোলাগার হয়ে থাকে এবং তাদের নাক ছোট হয়ে থাকে। তাদের মাথায় উপরে একটি উঁচু মাথার তালু থাকে এবং পার্সিয়ান বিড়ালের কান গোলাকার ও ছোট হয়ে থাকে।

চোখ:পার্সিয়ান বিড়ালের চোখ সাধারণত বড় হয়ে থাকে। এদের চোখ গোলাকার এবং এদের চোখ সাধারণত নীল, সবুজ ও হলুদ হয়ে থাকে।

নাক:পার্শিয়ান বিড়ালের নাক ছোট এবং বাঁকানো হয়ে থাকে।

লোম:পার্সিয়ান বিড়ালের অনেক বড়এবং ঘন লোম হয়ে থাকে যা তাদের পুরো শরীরকে আবৃত করে রাখে। পার্সিয়ান বিড়ালের লোম সাধারণত এক রঙের হয়ে থাকে। তবে এই বিড়ালটি ২-৩ রঙের লোমের সাথেও পাওয়া যায়।

শরীর:পার্সিয়ান বিড়াল গুলো সাধারণত মাঝামাঝি আকারের হয়ে থাকে। এদের দেহে পেশীবহুল হয়ে থাকে।এদের পা গোলাকার হয়ে থাকে এবং এদের লেজ ছোট ও চওড়া হয়।

পার্সিয়ান বিড়াল গুলি শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে।এই বিড়াল গুলো তেমন বেশি চঞ্চল না হলেও এরা আদর করা অনেক পছন্দ করে। তবে পার্সিয়ান বিলের যত্ন নেওয়া একটু কঠিন হয়ে থাকে। এদের লোম বড় হওয়ায় এদের নিয়মিত পরিষ্কার করে দিতে হয় এবং ব্রাশ করে দিতে হয়। পার্সিয়ান বিড়াল পালার আগে আপনাকে কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত।

পার্সিয়ান বিড়ালগুলো পালার জন্য আপনাকে প্রতিমাসে কিছু অর্থ খরচ করতে হবে এবং এদের সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে।আপনি যদি একটি বিড়াল খুঁজছেন যা আপনার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে তাহলে পার্সিয়ান বিড়াল অত্যন্ত ভালো পছন্দ।

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

আমরা হয়তো অনেকে জানি কুকুরের মত বিড়ালের ও জলাতঙ্ক রোগ হয়। এটি একটি সাংঘাতী রোগ।এই রোগের বাহক ইঁদুর, শেয়াল, বাদুড় ও রেকুন। এই প্রাণীগুলোর মাধ্যমে বিড়ালের মধ্যে এই রোগ ছড়ায়। মূলত এই প্রাণীগুলো আঁচড়ে বা কামড়ে বিড়ালের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। এর ফলে বিড়াল কোন মানুষকে কামড়ালে বা আঁচড় দিলে সেই মানুষেরও জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে।

বিড়ালের জ্বলাতঙ্ক রোগ হলে ২-৬ সপ্তাহ সময় লাগে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে। এর লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে পশু চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা নিতে হবে। এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিড়ালকে ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে এই রোগ থেকে বাঁচানো যায়।

  • আপনার বিড়ালের মুখ দিয়ে লালা ঝরতে থাকবে।
  • আপনার বিড়াল ঘন ঘন শ্বাস নিবে।
  • আপনার বিড়ালের আচরণ পরিবর্তন হয়ে যাবে অস্বাভাবিক আচরণ অথবা পাগলের মতন আচরণ করবে।
  • বিড়াল অন্যরকম ভাবে ডাকবে।
  • বিড়াল ভয় পাবে এবং পানি পান করা বন্ধ করে দিবে।
  • আপনার বিড়ালের জ্বর আসবে এবং প্যারালাইসিস হয়ে যাবে।
  • আপনার বিড়াল হিংস্র হয়ে উঠবে আঁচর অথবা কামড় দিতে চাইবে।

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার

বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার শুধুমাত্র জলাতঙ্কের টিকার মাধ্যমে এই সম্ভব। আপনি যেকোনো পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে এই টিকা আপনার বিড়ালকে দিয়ে দিতে পারবে।

বিড়াল কামড় দিলে করনীয়

আঁচড় বা কামর খায়নি এমন বিড়ালের মালিক খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিড়াল আদরের প্রাণী হলেও অনেক সময় দুর্ঘটনাবশত বিড়াল আঁচড় দিয়ে থাকে।তবে আঁচল খাওয়ার পর অনেকেই বুঝতে পারে না যে কি করবে। এই আর্টিকেলটিতে বিড়াল আঁচড় বা কামর দিলে কি করনীয় তা বলব।
বিড়াল-কামড়-দিলে-করনীয়
ক্ষতস্থানের গভীরতা দেখুন:মাঝেমধ্যে বিড়াল আঁচলে তেমন ক্ষতস্থানের গভীরতা তৈরি হয় না। এক্ষেত্রে জীবাণুনাসর দিয়ে ক্ষতস্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।তবে ক্ষতস্থানটি যদি গভীর হয় এবং যদি রক্তপাত হয় তাহলে মোটেও অবহেলা করবে না। বিশেষ করে কামড়ে যদি ক্ষতস্থান তৈরি হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাবান পানি:ভাইরাস বা জলাতঙ্ক জীবাণু রোধে সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে সাবান পানি। তাই বিড়ালের আঁচড়ে ক্ষত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেল।এতে জীবাণ সংক্রমিত হবে না।

এন্টিবায়োটিক:ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করার জন্য তরল  অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডেটল ও স্যাভলন বেশি কার্যকরী।এন্টিবায়োটিক মলম বা ক্রিম ব্যবহার না করার চেষ্টা করবেন।

সংক্রমণ:বিড়ালের আঁচড়ে যদি হালকা ক্ষত হয়ে থাকে তাহলে সেটি মোটেও অবহেলা করবেন না। দেখুন যে ক্ষতস্থানটি ফুলে গেছে কিনা এছাড়া লাল হয়ে গেলে রক্তপাত বন্ধ না হলে বা তীব্র ব্যথা হলে বুঝবেন জীবাণু সংক্রমিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।

জ্বর:অনেক সময় বিড়ালের আঁচড়ে বড়দের জ্বর না আসলেও ছোটদের জ্বর আসে।জ্বর আসা, পিঠ ব্যথা অথবা পেট ব্যথা মত লক্ষণ দেখলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। আর না হলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

পার্সিয়ান বিড়ালের খাবার

আমরা সবাই চাই যে আমাদের বিড়ালটা একটু সুন্দর দেখাক একটু স্বাস্থ্যবান হোক। তবে আপনার মনে রাখতে হবে বিড়াল মোটা মানেই বিড়াল ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী নয়। বিড়াল এমনিতে অলস প্রাণী তার মধ্যে যদি বিড়াল মোটা হয়ে যায় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। তাই আজকে আমরা জানব আপনার পার্সিয়ান বিড়ালের খাবার সম্পর্কে।
মাস সিদ্ধ:আমরা অনেকে আছি যারা বিড়ালকে রান্না করা মাছ খেতে দেই। কিন্তু এটা ঠিক না কারণ রান্না করা মাসে অনেক মসলা থাকে আর বিড়ালকে মসলা জাতীয় কোন খাবারে দিবেন না।আপনার পার্সিয়ান  বিড়ালটিকে আপনি সিদ্ধ করা মাছ খেতে দিবেন যাতে কোন মসলা থাকবে না।

মুরগি সিদ্ধ:আপনার পার্সিয়ান বিড়ালটিকে মুরগি সিদ্ধ করে খেতে দিতে পারেন।এই মুরগী সিদ্ধ তাদের অনেক পছন্দ কিন্তু এতে কোন মসলা বা লবণ ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাট ফুড:ক্যাটফুড পার্সিয়ান বিড়ালটিকে দিনে এক বেলা দিবেন। কারণ এগুলো ওয়েট ফুড বেশি দেওয়া যাবে না। বাজারে অনেক প্রকারের ক্যাট ফুড আছে বেশি দামি এবং কম দামি আপনি আপনার সাধ্য মতন ক্যাট ফুড দিবেন। তবে চেষ্টা করবেন সবচেয়ে ভালো ক্যাটফুড দেওয়ার।

এই তিন খাবারের সাথে সপ্তাহে এক দুই দিন চেষ্টা করবেন মাছ এবং মাংসের সাথে মিষ্টি কুমড়া সিদ্ধ করে দিতে অথবা মাংসের সাথে ডিম কুচি কুচি করে দিতে পারেন। আমরা অনেকের আছি যারা আমাদের পার্সিয়ান বিড়ালটিকে মাছের কাঁটা দিয়ে থাকি কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক নয়।

কারণ মাছের কাটা খাওয়ার সময় আপনার বিড়ালের গলায় কাটা ফুটে যেতে পারে। এবং আপনারা আপনার বিড়ালটিকে কখনোই গরুর দুধ খাওয়াবেন না। কারণ গরুর দুধ হজম করার মতন বিড়ালের সক্ষমতা নেই।

বিড়াল কত বছর বাঁচে

বর্তমানে পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় পোষা প্রাণী উচ্ছে বিড়াল।পৃথিবীতে পোষা বিড়ালের সংখ্যা ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি। বাংলাদেশে বিড়ালকে বাঘের মাশি হিসাবে বলা হয়ে থাকে। দিনের মধ্যে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয় বিড়াল।এই লম্বা একটি ঘুম দিয়ে তারা নিজেদের শক্তি সঞ্চয় করে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বিড়ালপালি শুধু ইদুর মারার জন্য আবার আমরা অনেকে আছি যারা শখের বসে বিড়াল পালি। মাছ, মাংস, দুধ বিড়ালের প্রিয় খাবার।একটি পোষা বিড়ালের ওজন ৫-৬ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে। বিড়াল খুবই চালাক শিকারি বিড়াল চলার সময় সামনের পা যেখানে ফালাই পিছনের পা ঠিক সেখানেই ফালায়।

এতে করে পায়ের ছাপ থাকে না এবং শব্দও কম হয়। বিড়াল রাতে খুব স্পষ্ট দেখতে পায় এক কথায় মানুষের থেকে ৬গুণ বেশি দেখতে পায়।ছাড়াও এদের ঘ্রন ও শ্রবণ  শক্তি অনেক ভালো। একটি বিড়াল গড়ে ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

বিড়াল নিয়ে হাদিস

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন বিড়াল নাপাক নয়। এটা তোমাদের আশেপাশে কোন বিচরণকারী প্রাণী। (আবু দাউদ:৭৫ তিরমিজি:৯২)।রাসূল (সাঃ)এর সাহাবী আব্দুর রহমান (রাঃ)জামার ভেতরে পোষা বিড়াল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে। একদিন তিনি জামার ভেতরে একটি বিড়াল ছানা নিয়ে রাসুল (সাঃ)এ দরবারে উপস্থিত হন।
সেই সময় হঠাৎ করে বিড়ালছানাটি সবার সামনে বেরিয়ে আসে। এই অবস্থা দেখে রাসুল (সাঃ)তাকে রসিকতা করে আবু হুরায়রা অর্থাৎ হে বিড়ালের পিতা এই বলে সম্বোধন করলে। এরপর থেকে তিনি তার নিজের নামের চেয়ে আবু হুরায়রা নামে বেশি খ্যাতি লাভ করেন। আর সেদিন থেকে তিনি নিজেকে আবু হুরায়রা নামেই পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করতে।

রাসুল (সাঃ)তিনি যখন অজু করতে তখন নিজের ওজুর পাত্র থেকে বিড়ালকে পানি পান করাতে। একটি মহিলা একটি বিড়াল আটকে রেখেছিল। এজন্য তাকে আজাব  দেওয়া হয়েছে। কারণ বিড়ালটিকে আটকে রাখার ফলে সে বিড়াল কি মারা গিয়েছিল। ফলে সে মহিলা জাহান্নামে গেছে।

বিড়ালটিকে আটকে রেখে সে কোন খাবার ও পানি দেয়নি আবার বিড়ালটিকে ছেড়েও দেয়নি যাতে যাতে করে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে।(ফাতহুল বারি:৬/৪১২)একদা তার মনি তাকে হযরত আয়েশা (রাঃ) নিকট খাবার সহ একটি পাত্র প্রেরণ করনে।অতঃপর আমি তার নিকট পৌঁছে দেখতে পাই যে তিনি নামাজ রত আছেন।

তিনি আমাকে পাত্রটি রাখার জন্য ইশারা করলে। ইতিমধ্যে সেখানে একটি বিড়াল আসে তা থেকে কিছু খাবার খেয়ে ফেলে। হযরত আয়েশ (রাঃ) নামাজ শেষ করে এসে বিড়ালটি যে পাত্র হতে খেয়েছিল সেখান হতেই খেলেন এবং বললেন-নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন:বিড়াল অপবিত্র নয়। এবং এর তোমাদের আশেপাশের ঘোরাফেরা করে।

অতঃপর হযরত আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন।আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দ্বারা ওযু করতে দেখেছি (সুনান আবু দাউদ:৭৬)তাই কোন খাবারে যদি বিড়াল মুখ দেয় আর খাবারের মালিক যদি ধনী হয় তাহলে ওই খাবার খাওয়া তার জন্য মাকরুহ বা অপছন্দনীয়।রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: বিড়াল সালাত বিনষ্ট করেন কারণ তা ঘরের জিনিসপত্রের অন্তর্ভুক্ত।

আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা পার্সিয়ান বিড়াল চেনার উপায়, বিড়াল কামড়ালে করণীয়, বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। আপনি যদি একটি বিড়ালের মালিক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসব বিষয় জেনে রাখতে হবে।

আর অবশ্যই আপনি যদি কোন বিড়ালের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন যে এমন কোন কাজ না করার যাতে আপনার বিড়াল কষ্ট পায়। আর এতক্ষণ ধরে আমাদেরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইনফরমেন্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url